পশুর সম্পূরক খাদ্য (পাঠ ৭)

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - কৃষিশিক্ষা কৃষি উপকরণ | - | NCTB BOOK
131
131

আমাদের দেশে খড়, ভুসি, কুঁড়া, চাল, গম, খৈল, গাছের পাতা, ঘাস, আগাছা ইত্যাদি পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো সুষমভাবে খাওয়ানো হয় না এজন্য গবাদিপশু থেকে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পাওয়া যায় না। তাই গবাদিপশুকে সম্পূরক খাদ্য দেওয়া হয়। শর্করা, আমিষ, চর্বি, খনিজ পদার্থ ও পানি এ ৬টি উপাদান বিবেচনায় রেখে সম্পূরক খাদ্য তৈরি করা হয়। আমাদের দেশে জন্মায় এমন কিছু ঘাস যেমন- ইপিল ইপিল, নেপিয়ার, পারা, জার্মান, গিনি ইত্যাদি এবং খেসারি, কাউপি, মাষকলাই, ভূট্টা প্রভৃতি পশুকে খাওয়ানো হয়। প্রতিটি গাভীকে নিম্নোক্ত হারে দৈনিক সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে-

উপাদানপরিমাণ
সবুজ কাঁচা ঘাস১৫-২০ কেজি
শুকনা খড়৩-৫ কেজি
দানাদার খাদ্য মিশ্রণ২-৩ কেজি
লবণ৫৫-৬০ গ্রাম

দানাদার খাদ্যের ক্ষেত্রে প্রথম ৩ লিটার দুধের জন্য ২ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে। পরবর্তী প্রতি ৩ লিটার দুধের জন্য ১ কেজি অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য দিতে হবে। যদি গরুকে শুধু সবুজ ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয় তবে প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ৩ কেজি ঘাস এবং ১ কেজি খড় দিতে হবে। আবার শুধু ঘাস খাওয়ালে প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ৬ কেজি ঘাস দিতে হবে। শুধু খড় খাওয়ালে প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ৩ কেজি খড় দিতে হবে।

সম্পূরক খাদ্য হিসেবে দানাদার খাদ্য মিশ্রণ-

উপাদানপরিমাণ
চালের কুঁড়া২ কেজি
গমের ভুসি৫ কেজি
ভুট্টা ভাঙা১.৮ কেজি
তিল বা বাদামের খৈল১ কেজি
লবণ১০০ গ্রাম
খনিজ মিশ্রণ১০০ গ্রাম

মোট

১০ কেজি
কাজ: শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে দলীয়ভাবে ২ কেজি দানাদার খাদ্য তৈরি করার কৌশল পোস্টার পেপারে উপস্থাপন করতে বলবেন।
Content added By
Promotion